শরীয়তপুরের পদ্মা বিচ্ছিন্ন নড়িয়া উপজেলার দুর্গম চর এলাকা নওপাড়ার বাসিন্দা মাকসুদা বেগম। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, এই আমরা চরে বিদ্যুৎ পাব তা ছিল শুধুই কল্পনা।
কারণ, বছরের পর বছর নদী ভাঙনের কারণে বাপ দাদার ভিটে হারিয়েছি বহু আগে।
পদ্মার ভয়াবহ নদী ভাঙনে ক্ষতির মুখে পড়ি আমরা এ দেশের মানুষ। আর এর মধ্যে আবার বিদ্যুৎ পাব তা কখনো ভাবিনি।
মন্ত্রী শামীম সাহেব এমপি মন্ত্রী হইয়াই আমাদের চরের চারিদিকে বেরীবাঁধ করে দিছে।এখন আর আমাদের নদীও ভাঙে না।
আমরা এদেশের মানুষ এখন নিশ্চিন্তে ঘুমাই।
গেছে ৫০ বছরে ও এতো উন্নয়ন হয় নাই আমাদের এই নওপাড়ায়।শুধু নওপাড়াই না এর পাশাপাশি
আরো ৪/৫টি ইউনিয়নে ও অনেক উন্নয়ন করেছে আমাদের মন্ত্রী এনামুল হক শামীম সাহেব।
আমার সন্তানেরা বিদ্যুতের আলোতে পড়াশোনা করে। ঘরে ফ্যান লাগাইছি। ফ্রিজ আনছি।
শুধু বিদ্যুৎ, বেরীবাঁধ করেই থেমে থাকেন নাই আমাদের মন্ত্রী শামীম সাহেব।
আমাদের জন্য রাস্তাঘাট পাকা করে দিছে,নদীর পাড়ে আগে অন্ধকার আছিল এখন বিদ্যুৎ এর বড় বড় লাইটের আলোতে এখন ওইপাড় থেকে ও আমাদের এলাকা দেখা যায়।
বাঁশের কোনো সাঁকো নাই আমাদের এখানে। সব এখন কাঠের পুল আর ব্রিজ। পড়াশোনার মান উন্নয়নে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছেন।
এদেশের মানুষ আমরা এখন শেখ হাসিনা ও এনামুল হক শামীম সাহেবকে ছাড়া আর কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা, নওপাড়া, জাজিরার কুণ্ডেরচর, ভেদরগঞ্জের কাচিকাটা এবং চাঁদপুর
সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর, মতলবের একলাশপুর ও জহিরাবাদ ইউনিয়ন পদ্মা নদীর চরে অবস্থিত।
ওই ইউনিয়নগুলোর ৫৭টি গ্রামে জনবসতি আছে। গ্রামগুলোয় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ।
চরগুলোতে কোনো সংযোগ সড়ক না থাকায় সেখানে বিদ্যুতের সংযোগও ছিল না। দীর্ঘ উত্তাল নদী পেরিয়ে বিদ্যুৎ–সংযোগ স্থাপন করা ছিল দুরূহ কাজ।
তবে ২০১৯ সালে শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে দেড় কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাব্লের মাধ্যমে প্রথমে বিদ্যুৎ নেওয়া হয় নড়িয়ার নওপাড়া ও চরআত্রা ইউনিয়নে।
2 Replies to “আমরা কখনো বিদ্যুৎ পাব তা ছিল শুধুই কল্পনা”
Comments are closed.