ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের হাতে তৈরি করা নকশা, জরি ও পুঁতি বসানো কাপড়, পাটজাতসহ নানা রকম পণ্যের প্রসার ঘটাতে দশ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে ঠাকুরগাঁও বিসিক কর্তৃপক্ষ।
তবে এ মেলায় উদ্যোক্তাদের পণ্য থাকার কথা থাকলেও স্টল বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগই বাজারের হরেক রকমের পণ্য বিক্রি করছেন।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে জেলা স্কুল বড় মাঠে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে এমপি রমেশ চন্দ্র সেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের হাতে তৈরি পণ্যের প্রসারের জন্য এ মেলার আয়োজন করা হলেও এতে জেলার পাঁচ উপজেলার মাত্র ২৫ জন উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন।
কারণ স্টল বরাদ্দ বাবদ ২ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। ফলে অনেক উদ্যোক্তাই মেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
স্টল বরাদ্দ বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ করে স্থানীয় অনেক উদ্যোক্তা জানান যে তারা মেলায় এসে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে আগ্রহী নন।
আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অর্থের বিনিময়ে ব্যবসায়ীরা স্টল বরাদ্দ নিয়ে বাজারে রকমারি পণ্য বিক্রি করছেন মেলায় আগত দর্শনার্থীদের কাছে।
এতে মেলায় অংশ নেয়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে সহযোগিতা দাবি করেছেন।
ঋণ পেতে হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি বিসিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেন অনেক উদ্যোক্তা।
মেলায় অংশ নেয়া তামান্না শাড়ি ঘরের উদ্যোক্তা সোহেল জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে শাড়িতে জরি-পুঁতি বসিয়ে বাজারের বিক্রি করছি।
এ কাজে প্রায় ২ শতাধিক শ্রমিক কাজ করে।
উৎপাদন বাড়ানোর জন্য স্বল্প সুদে ঋণ পেতে অনেকবার বিসিকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তারা শুধু আশস্ত করেছেন, ঋণ দেননি।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পক্ষে পণ্য বিক্রির পর লাভ করে স্টল ভাড়া দেয়া কঠিন।
আমরা চাই এ ধরনের আয়োজন উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে ত্বরান্বিত করা হোক।’
অর্থের বিনিময়ে স্টল বরাদ্দ দেয়ার কথা স্বীকার করে ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্প নগরীর উপব্যবস্থাপক নুরেল হক বলেন,
আদার করা অর্থ বিসিকের প্রধান কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ মেলায় অর্ধশত স্টল বসেছে এবং আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত এ মেলা চলবে।