কক্সবাজার এর রেণুর উপর নির্ভরশিল চিংড়ি মালিকরা। চিংড়ি ঘের মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত মানসম্মত রেণুর অভাবে।
মৌসুমের শুরুতেই বাগদা চিংড়ি উৎপাদন নিয়ে উৎকণ্ঠায় সাতক্ষীরার ঘের মালিকরা।
কক্সবাজার থেকে নিয়ে আসা রেণু কোনো প্রকার ল্যাব টেস্ট ছাড়াই ঘেরে ছাড়তে হচ্ছে তাদের।
এতে বেশিরভাগ মাছ মারা যাওয়ায় বিপাকে চাষিরা।
‘হোয়াইট গোল্ড’ নামে খ্যাত বাগদা চিংড়ির অন্যতম উৎপাদনকারী জেলা সাতক্ষীরা।
জেলার ৭টি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ এই চিংড়ি চাষের সাথে জড়িত।
আর কক্সবাজার থেকে আসা বিভিন্ন হ্যাচারির রেণুর উপর অনেকটাই নির্ভর চিংড়ি চাষিরা।
তবে কয়েক বছর ধরে বাগদা রেণুর গুণগত মানের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিকরা।
চলতি বছরেও কোন প্রকার ল্যাব টেষ্টে মান নিয়ন্ত্রণ না করেই রেণু ছেড়ে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার দুশ্চিন্তায় তারা।
বারবার অবগত করা হলেও মৎস্য বিভাগের পরামর্শ ও সহায়তা না পাওয়ার দাবি চাষিদের।
চাষিরা জানান, সময়মতো মৎস্য বিভাগের সহযোগিতা মিলছে না।
এদিকে বেড়েছে রেণুর দাম। এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা জানান তারা।
এ অবস্থায় চাহিদার তুলনায় সামনের পিক আওয়ারে সরবরাহ কমে গেলে রেণুর দাম বৃদ্ধি পাবে।
সেইসঙ্গে চিংড়ির উৎপাদন ব্যাহত হবে বলে জানান চিংড়ি চাষি সমিতির নেতারা।
সাতক্ষীরা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন,
সামনের পিক টাইমে সরবরাহ ঠিক না থাকলে সংকট দেখা দিতে পারে। এতে চিংড়ির দাম বাড়বে বলে জানান তিনি।
আর মৎস্য কর্মকর্তা ঘেরে চিংড়ি রেণু মারা যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, চাষিরা রেণু ছাড়ার নিয়ম মানছেন না।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন,
অপরিকল্পিত ঘের ব্যবস্থাপণা ও রেণু ছাড়ার বিষয়ে চাষিদের পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় রেণু মারা যাচ্ছে।
এছাড়া জেলায় ৭৪টি ক্লাস্টার ফার্ম প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। প্রতিটি ক্লাস্টার ফার্মের আওতায় থাকবে ২৫টি চিংড়ি ঘের।
One Reply to “কক্সবাজার এর রেণুর উপর নির্ভরশিল চিংড়ি মালিকরা”
Comments are closed.