মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমের পাইকারি মাছের হাটে উপচেপড়া ভিড়। স্থানীয় তাজা মাছসহ নানা অঞ্চলের হরেক রকমের মাছে ভরপুর আড়তগুলো।
মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও একদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
ভোর থেকেই মাছের পসরা ঘিরে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড়।
পাইকারি এ হাটে পছন্দের মাছ কিনতে দূর দূরান্ত থেকে আসা পাইকারদের মধ্যে চলে প্রতিযোগিতা।
ইলিশ ছাড়াও রুই, কাতল, পাঙাশ, শিং, কই, চিংড়ি, রিটা ও পাবদাসহ পুকুর, দিঘি, খাল-বিলের তাজা মাছের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায় এই মাছের বাজারে।
তবে হাটে পদ্মার ইলিশের সংকট থাকলেও বেড়েছে উপকূলীয় ইলিশের সরবরাহ।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছুটির দিন হওয়ায় বাজারে একদিনের ব্যবধানে মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতাদের দাবি, ভরা মৌসুমে মাছের সরবরাহ থাকলেও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন আড়তদাররা।
তারা জানান, বাজারে মাছের দাম অনেক বেশি। পর্যাপ্ত মাছ থাকা সত্ত্বেও বেশি দাম হাকছেন বিক্রেতারা।
বাড়তি দামে মাছ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
তবে মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম মৎস্য আড়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজা মিয়া বলেন, এখানে সিন্ডিকেটের কোনো সুযোগ নেই।
বাজারে মাছের সরবরাহ থাকলে দাম কমে। আবার সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে কেজিপ্রতি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
আর নদীর পাঙাশ ৯০০ টাকা থেকে ৯২০ টাকা, নদীর রুই ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা,
কাতল ৩২০ টাকা ৩৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা,
বাগদা চিংড়ি ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, চাষের শিং ৩০০ থেকে ৩৫০টাকা, দেশি শিং ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন :
One Reply to “মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পাইকারি মাছের বাজারে ভিড়”
Comments are closed.