রোজা সামনে রেখে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুন্সীগঞ্জে তরমুজসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল।
এতে একদিনের ব্যবধানে প্রতি পিস তরমুজের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
পাশাপাশি অন্যান্য ফলও ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে তরমুজের বিশাল হাটে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর বদৌলতে দক্ষিণের তরমুজে ভরপুর এই হাট।
তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার সত্ত্বেও একদিনের ব্যবধানে প্রতি পিস তরমুজের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
রমজান সামনে রেখে জেলায় বাড়তি দামে দৈনিক প্রায় অর্ধকোটি টাকার আনারস, বাঙ্গি, কলা, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি হচ্ছে।
পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ফলের দাম ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
এ হাটে প্রতি পিস তরমুজ ৭০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, ভাঙ্গি ৮৫ টাকা থেকে ২২০ টাকা, আনারস ১৭ টাকা থেকে ৩৮ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি সবেদা ৮৫ টাকা থেকে ১২৫ টাকা, পেয়ারা ২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, বড়ই ২৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, আনার ২৩০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা।
এছাড়া, খেজুর ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, মাল্টা ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা এবং আপেল ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর প্রতি হালি সবরি কলা ১৫ টাকা থেকে ৩৪ টাকা, সাগর কলা ১৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, নেপালি কলা ১০ টাকা থেকে ২৫ টাকা ও চাপা কলা ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা।
ক্রেতাদের দাবি, হাত বদলেই সিন্ডিকেট করে ফলের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
এক ক্রেতা বলেন, ‘রোজা না আসতেই ফলের দাম অনেক বেশি বেড়ে গেছে।
এমনকি পাইকারি পর্যায়েই একদিনের ব্যবধানে তরমুজের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
উল্লেখ্য, ধলেশ্বরীর তীরের এ হাটের ১০টি আড়তে
বর্তমানে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার তরমুজ সরবরাহ হয়ে থাকে। আর বিক্রি হচ্ছে অর্ধকোটি টাকারও বেশি তরমুজ।
3 Replies to “রোজা সামনে রেখে বাড়ছে ফলের দাম”
Comments are closed.