২০১১ সালে নরওয়েতে বাঙালি দম্পতি সাগরিকা চট্টোপাধ্যায় এবং অনুরূপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনা নিয়ে সিনেম বানালেন অসীমা ছিব্বর ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’।
২০১১ সালের ঘটনার ভিত্তিতে নির্মিত এই সিনেমার মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রানী মুখার্জি ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। মর্দানি ২-এর পর ফের বড়পর্দায় রানী। ট্রেইলার মুক্তির পর থেকেই সাড়া ফেলে দিয়েছে এ ছবি।
ইতোমধ্যে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ দেখে ফেলেছেন অভিনেত্রীর স্বামী আদিত্য চোপড়া। ছবি দেখে স্বামী আদিত্য প্রতিক্রিয়া জানান রানীকে।
এক সাক্ষাৎকারে সেই তথ্য জানিয়ে রানী বলেন, অনেকেই মনে করেন, আমি নাকি অনেক বদলে গেছি। আর আগের মতো নেই। এমনকি আদিও সেটা মনে করেন। তার কথায়, আমার মেয়ে আদিরা জন্ম নেওয়ার পর থেকেই আমার মধ্যে প্রচুর পরিবর্তন এসেছে। আমি নাকি এখন শুধুই মা, স্ত্রী নই।
রানী আরও বলেন, আমি জানি এটা একেবারেই আদির অভিমান। প্রত্যেক মেয়েই, মা হওয়ার পর বদলে যায়। আর এ বদলে যাওয়াটা মোটেও মন্দ নয়। কারণ মা হওয়াটা মুখের কথা নয়। এ অনুভূতিটা আমরা মেয়েরাই অনুভব করে থাকি।
একটি সত্য ঘটনা অবলম্বন করেই সিনেমাটি তৈরি। পারিবারিক অশান্তি এবং সন্তান প্রতিপালনে গাফিলতির কারণে মা থেকে সন্তানকে আলাদা করে নেয় নরওয়ে সরকার। সন্তানের অভিভাবকত্ব ফিরে পেতে এক মায়ের লড়াই উঠে আসবে এ সিনেমাতে।‘ মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ট্রেলারে এভাবেই সিনেপর্দায় কামব্যাক করছেন এ অভিনেত্রী।