মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৯৪ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় ভিসাবিহীন অভিবাসীদের ধরতে দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৯৪ বাংলাদেশিসহ ৫৩০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের সেরিকেম বাঙ্গান পাইকারি বাজারে অভিযান শুরু হয়। শেষ হয় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায়। অভিযান শেষে ৫৩০ জনকে আটক করা হয়।

অভিযানে জেনারেল অপারেশন ফোর্স (পিজিএ), রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশ, মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (এপিএম), সেলাঙ্গর ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেপিএন) এবং সুবাং সিটি কাউন্সিলও অংশ নেয়।

অভিযানে অংশ নেয়া সেলাঙ্গর অভিবাসন বিভাগের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামার উদ্দিন জানান, অভিযানে ৫৩০ জনের মধ্যে ৫০৪ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারী। এর মধ্যে ৯৪ জন বাংলাদেশি। এছাড়া ২৭৭ জন মিয়ানমারের নাগরিক, ৭২ জন ভারতের, ৩৯ জন ইন্দোনেশিয়ার, ১৫ জন নেপালের, ৯ জন শ্রীলঙ্কার, ৬ জন পাকিস্তান এবং একজন ভিয়েতনামের।

আটকদের মধ্যে রয়েছেন ৩১ জন পুরুষ, ৯ জন মিয়ানমারের নারী, ২ জন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ, ৩ জন বাংলাদেশি পুরুষ এবং একজন থাই নারী।

সবাইকে তদন্তের জন্য বেরানং-এর মিলেনিয়াম ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান জাকারিয়া।

পরদিন মঙ্গলবার আরও একটি অভিযান চালানো হয় বালাকং-এর একটি শিল্প কারখানা এবং পুচং-এর একটি সুপারমার্কেটে। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া অভিযানে ৬৪ জনকে যাচাই-বাছাই করা হয় এবং ৪৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।

আটকদের বয়স ১৮ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে এবং তারা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক জানান, অনেক অবৈধ অভিবাসী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, কর্মকর্তারা সজাগ থেকে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছেন

তিনি বলেন, “যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আটকদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের ধারা ৬(১)(গ) ও ১৫(১)(গ) এবং ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের ৩৯(খ) ধারায় তদন্ত চলছে।

দাতুক জাকারিয়া হুঁশিয়ার করে বলেন, “অবৈধভাবে অবস্থানকারী, পাসের অপব্যবহারকারী কিংবা সময়সীমা অতিক্রমকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের সহায়তাকারী নিয়োগকর্তারাও আইনের আওতায় আসবেন।”

 

এনএএন টিভি