এ টি এম আজহারুল বলেন ,জনসমর্থন থাকলে কেউ পালায় না

সদ্য কারামুক্ত জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘জনসমর্থন থাকলে কেউ পালায় না, যারা বড় বড় কথা বলেছে তারাই পালিয়েছে। আমরা পালাইনি। আমাদের কেউ পালায়নি । আর আমরা আজও দেশের মাটিতেই আছি, জনগণের মাঝে আছি।’’ আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে নিজ গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জে যাওয়ার পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি এখন মুক্ত ও স্বাধীন। এখন আমি আমার মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারি। এ জন্য আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।”

কারাগারে বন্দি অবস্থায় তার মুক্তির জন্য যারা রোজা রেখেছেন, নামাজ পড়েছেন এবং কাবা শরীফের গিলাফ ধরে কান্নাকাটি করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেছেন। আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’’

দীর্ঘ ১৪ বছর কারাভোগের পর নিজ এলাকায় ফিরে আসায় গণসংবর্ধনার আয়োজন করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জের জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।

আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মীর কাসিম আলীর যুদ্ধাপরাধের মামলা যখন শুরু হয়, তখন তিনি আমেরিকায় ছিলেন। ওনাকে বলা হয়েছিল আপনি আসবেন না। উনি বলেছিলেন, আমি তো কোন অপরাধ করিনি। আমি আমার দেশেই মরব। উনি দেশে এলেন। আর যারা বড় বড় কথা বলেছে, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।’

এ টি এম আজহার বলেন, ‘আমি ১৪ বছর কারাবরণ করার পর মুক্ত হয়ে আমার নিজ এলাকায় যাচ্ছি। এর জন্য দেশবাসী ও এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। আমি এখন মুক্ত, আমি এখন স্বাধীন, আমি এখন নিজের মতামত নিজে প্রকাশ করতে পারি।’ এ সময় সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, রংপুর মহানগর জামায়াতের আমির এটিএম আজম খান, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, এ টি এম আজহারুল ইসলাম তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জে স্থানীয় জামায়াত আয়োজিত দুটি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।