বাংলাদেশে খেলতে এসে রোমাঞ্চিত আর্জেন্টিনা কাবাডি দল।
লাল-সবুজের মাটিতে তুলে নিতে চায় প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয়।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও তাদের চাওয়া বঙ্গবন্ধু কাবাডির শিরোপা থাক বাংলার মাটিতেই।
ফুটবলের হাত ধরে দুই দেশের মধুর সম্পর্ক হলেও ক্রিকেট ও কাবাডিতে এর সুফল পেতে চায় দেশটি।
আর্জেন্টিনা কাবাডি দলের কোচ রিকার্দো আকুনিয়া এ বিষয় কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
তিনি বলেন, বলে বোঝাতে পারব না বাংলাদেশে আসা নিয়ে দলের সবাই কেমন উচ্ছ্বসিত। ফুটবল বিশ্বকাপের সময় দেখেছি। এ দেশের প্রতি,
এ দেশের মানুষের প্রতি আর্জেন্টাইনদের কেমন ভালোবাসা।
মানচিত্রের একেবারে দুপ্রান্তে দুটি দেশের মাঝে এমন বন্ধন, সত্যি অবিশ্বাস্য ও অসাধারণ।
ফুটবলে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মাঝে পার্থক্য যেমন।
ঠিক তার বিপরীত দুই দেশের কাবাডি। বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হলেও মেসির দেশে কাবাডি এখনো অ্যামেচার গেম। হয় না লিগ, নেই অর্থ।
এমনকি এই দলটার সবাই অন্যান্য ডিসিপ্লিনেও খেলেন।
আর্জেন্টাইন কোচ বলেন, পুরো আর্জেন্টিনায় প্রায় একশর মতো কাবাডি খেলোয়াড় আছে। তবে কারওরই প্রথম পছন্দ নয়। যে দলটা নিয়ে আসলাম।
তাদের কেউ রেসলার, কেউ শাটলার, কেউ ফুটবলার কেউবা আবার রাগবি খেলোয়াড়। শুধু কাবাডি খেলে, এমন কেউ নেই।
তবে আর্জেন্টিনা কোচ রিকার্ডোর বিশ্বাস—
বাংলাদেশের হাত ধরে একদিন কাবাডিও জনপ্রিয় হবে তার দেশে।
এ জন্য আগামী বছর আর্জেন্টিনায় আয়োজন করতে চান একটি টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশকেও নিতে চান সেখানে।
রিকার্ডো আকুনিয়া আরও বলেন,
আমাদের বাংলাদেশে আসার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ সাড়া মিলছে।
বাংলাদেশের কারণে কদিন আগে যেমন ক্রিকেটের ব্যাপারে সবাই জেনেছিল।
ঠিক তেমনি কাবাডির ব্যাপারেও এখন মানুষ জানছে।
আমার বিশ্বাস, আগামী বছরের টুর্নামেন্টে যদি বাংলাদেশ দলকে আমাদের দেশে নেওয়া যায়, তবে খেলাটিতে বিপ্লব আসবে।
প্রসঙ্গত ১২ দেশ নিয়ে ১৩ মার্চ শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডির তৃতীয় আসর।
র্যাংকিংয়ে ২৬তম আর্জেন্টিনার চাওয়া, স্বাগতিকদের হাতেই উঠুক হ্যাটট্রিক শিরোপা।