নীলফামারীতে ডিক্রীকৃত জমি দখল, হালচাষে বাধা দিতে গেলে মারপিট

নীলফামারীর সদর উপজেলার এক পল্লীতে ল্যান্ড সার্ভে মামলায় ডিক্রীপ্রাপ্ত জমি জোরপূর্বক দখলের ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জমিতে হালচাষে বাধা দিতে গেলে মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকির শিকার হন জমির প্রকৃত মালিক। এ ঘটনায় অসহায় ভুক্তভোগী মহসীন শাহ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
জানা যায়, সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা শাহপাড়া গ্রামের মৃত দেলাবর শাহের স্ত্রী কুলসুমের কাছ থেকে মহসীন শাহের পিতা সাহাবুদ্দিন শাহ ১৯৯২ সালের ১৫ আগস্ট ৬৭১৮ নং দান কবলামূলে ৩১৬০ দাগে ৫ শতক ও ৩১৬১ দাগে ৭ শতক — মোট ১২ শতক জমি ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন ভোগদখলে থাকা অবস্থায় বিএস জরিপে পূর্বের উক্ত দুই দাগ একীভূত হয়ে বিএস ৭১১৪ দাগে পরিণত হয় এবং মোট ৬৯ শতকের মধ্যে ৩৪ শতক জমি রেকর্ডভুক্ত হয়
এতে মহসীন শাহের প্রাপ্য ২৩.৯৫ শতক জমির মধ্যে ভুলক্রমে মাত্র ১৭ শতক রেকর্ডভুক্ত হলে তিনি আদালতে ল্যান্ড সার্ভে মামলা নং ২২/১৯ দায়ের করেন। মামলার রায়ে আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেন এবং ৫.৫ শতক জমির ডিক্রী জারি হয়।
কিন্তু গত ১০ অক্টোবর ২০২৫ ইং (শুক্রবার) সকালে স্থানীয় আব্দুর রউফ বুদা গংরা বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে মহসীনের ভোগদখলকৃত জমির মধ্যে ৫ শতক জায়গায়, যেখানে আগে থেকেই গম ক্ষেত ছিল, সেখানে জোরপূর্বক হালচাষে করে আলুর বীজ বপন করেন।
এসময় মহসীন শাহ বাধা দিলে আব্দুর রউফ বুদা, মাজেদুল, আমজাদ আলী, বাবু, সাজু, সাবু, ময়নুল ও মাজেদা বেগমসহ অনেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালান এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
পরবর্তীতে ন্যায়বিচারের আশায় শাহাবুদ্দিন শাহের পুত্র মহসীন শাহ বাদী হয়ে নীলফামারী সদর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, ডিক্রীপ্রাপ্ত জমি দখলের এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এনএএন টিভি / ওমর ফারুক