প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে এক টাকা বাড়িয়ে ডলার এর দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এখন থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১০৮ টাকা।
সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ মিলবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৬ টাকা।
এত দিন রেমিট্যান্সের বিপরীতে ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা এবং রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ছিল ১০৫ টাকা।
গতকাল মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)
এবং বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এ সিদ্ধান্ত সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
বৈঠকের একটি সূত্র গণমাধ্যমে জানান, আজকের যৌথসভায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেমিট্যান্সের ব্যাংক রেট ১০৮ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ প্রবাসীরা প্রতি ডলারে পাবেন ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর রপ্তানিকারকরা পাবেন ১০৬ টাকা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম,
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে।
সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়।
পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর।
এর পর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
আরও পড়ুন: