খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শনিবার উপজেলার দীঘিনালা রাজ বনবিহার সংলগ্ন সড়ক থেকে স্থানীয় লোকজন বানরটি উদ্ধার করে।
পরে বানরটিকে বন বিভাগের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ স্নেক রেস্কিউ টিম উপজেলা ইউনিটের সদস্যদের প্রচেষ্ঠায় উদ্ধার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়,
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) লজ্জাবতী বানরকে সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করেছে।
এটি দেশের ক্ষুদ্রতম বানরজাতীয় প্রাণী।
বাংলাদেশে মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের চিরসবুজ বনের বাসিন্দা।
এগুলো নিশাচর ও বনের গভীরে উঁচু গাছে থাকতে পছন্দ করে। দিনে গাছের খোঁড়লে বা ঘন পাতার আড়ালে ঘুমিয়ে কাটায়।
বিরল, নিশাচর ও লাজুক হওয়ায় দিনে সহজে চোখে পড়ে না। এগুলো গাছে গাছেই থাকে এবং সহজে মাটিতে নামে না।
অত্যন্ত ধীরগতিতে চলাফেরা করে এই জাতির বানরেরা, সেজন্য দিনের বেলাতে*9 এগুলোর দেখা মেলে না। এরা পোকামাকড় ও গাছের কষ খেয়ে বেঁচে থাকে।
উদ্ধারকারী দলের সদস্য মোহাম্মদ ইমরানুল হক মোবিন জানান,
লজ্জাবতী বানরটিকে সকালে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে সেটিকে খাঁচায় রাখা হয়।
আমাদের সংগঠনের সদস্যরা খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় বানরটি উদ্ধার করা হয়।
খাবারের খোঁজে হয়তো প্রাণীটি লোকালয়ে চলে এসেছিল।
উপজেলার বনবিভাগের মেরুং রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. এহিয়া হোসেন বলেন,
স্থানীয় লোকজন প্রাণীটি সম্পর্কে তেমন জানত না, তাই তারা ভয় পেয়ে এই প্রাণীটিকে আটক করেছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে বলায় রাতেই বানরটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বানরটি উদ্ধারের পরবর্তী প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
লজ্জাবতী বানরটি বন্যপ্রাণী অপরাদ দমন ইউনিট ঢাকায় বন ভবনে পাঠানো হয়েছে।
লজ্জাবতী বানর সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত হওয়ায় গবেষনার কাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
- এশিয়া কাপের পরিবর্তে পাঁচ জাতির টুর্নামেন্ট হতে পারে
- ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ
- চট্টগ্রাম তুলাতলী বস্তিতে অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
- অপরিবর্তিত থাকবে চার জেলার তাপদাহ
- মহান মে দিবস আজ
- সুদানে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লেও সংঘর্ষ চলমান
- পাহাড়ি রাস্তা থেকে গিরিখাতে বাস পড়ে ১৮ জনের মৃত্যু
- নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে ছুটছেন জেলেরা
One Reply to “দীঘিনালায় বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার”
Comments are closed.