ঢাকা, বাংলাদেশ | বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   আর্জেন্টিনা ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করতে যাচ্ছে    ৬০ কিমি বেগে রাতেই যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা    ফকিরহাটে ষাটোর্ধ্ব নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার    খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল    লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১৫,০০০/- টাকা জরিমানা    দুটো ছেলে মানুষ করা খুব শক্ত কাজ –কারিনা কাপুর    রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অটোরিকশাচালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু    কেন ধীর হয়ে আসছে পৃথিবীর ঘূর্ণন, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা    শুক্রবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা    ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসতে পারে শুক্রবার    ড. ইউনূসের পুরস্কার গ্রহণ গাজায় গণহত্যা সমর্থনের শামিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী    নিউইয়র্কে নরসিংদী জেলা সমিতির ইফতার মাহফিল    হ্যাকার চক্রের সন্ধান দিলেই মিলবে মোটা অংকের পুরস্কার    ঝালকাঠিতে নদী থেকে ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার    “এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

আসন্ন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও প্লাস্টিক খাতের অভ্যন্তরীণ বৈষম্য কাটেনি।

বরং দ্বৈতনীতির বলি হয়ে অনেক ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানই ব্যবসা থেকে সরে যাচ্ছে।

তাই বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার আগেই অসংগতি দূর করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক পণ্যের ভ্যাটের হার আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এক ক্রেতা বলেন, ‘প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার তো বেশিই। কিন্তু সব পণ্যের পাশাপাশি এর দামও ঊর্ধ্বমুখী।

আর দাম বাড়লে তো কখনো সুবিধা হয় না, সবসময় অসুবিধাই হয়। কারণ, আমাদের উপার্জন তো আর বাড়ছে না।’

এক বিক্রেতা বলেন, ‘আগে যে জিনিস ১০০ টাকা ছিল, সেটি এখন হুট করে ১৫০ টাকা হয়ে গেছে। ক্রেতা তো আগের হিসাবেই আছে।

আমাদের মুনাফা কমা ও পুঁজি বেশি লাগার পাশাপাশি ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিও বেশি করতে হচ্ছে।

প্লাস্টিক পণ্যে ভ্যাটের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এলো এমন সময় যখন ৪০ হাজার কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ বাজার প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে।

দ্রুত বর্ধমান এই চাহিদা মেটাতে বর্তমানে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। যার বেশির ভাগই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে দাবি করে এ খাতের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) বলছে,

বর্তমানে কোনো প্যাকেজিং পণ্য তৈরি করে তা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করলে সাড়ে ৭ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়।

অথচ এই পণ্য যখন বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিজেরা তৈরি করে তা ব্যবহার করে, তখন তাদের এই কর দিতে হয় না।

এমন দ্বৈতনীতি ছোট ছোট অনেক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।

একই সঙ্গে অগ্রিম আয়করের ক্ষেত্রেও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিপিজিএমইএ-র সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, ‘যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য প্লাস্টিক অতি প্রয়োজনীয়।

সেখানে সেটি মোড়ক হিসেবে ব্যবহার হোক বা কম্পোনেন্ট হিসেবে ব্যবহার হোক না কেন;

মোড়ক সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সরকার সাড়ে ৭ শতাংশ উৎসে কর ও ৪ শতাংশ এআইটি (অগ্রিম আয়কর) নিচ্ছে।

এই কর এড়াতে বড় বড় প্রতিষ্ঠান নিজেরাই নিজেদের মোড়ক তৈরি করে নিচ্ছে।

ফলে তারা আরও সাশ্রয়ী মূল্যে প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন করতে পারে।

অথচ আমরা আগে তা সরবরাহ করতাম। কাজেই আমাদের ব্যবসার পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে।

তবে উদীয়মান একটি শিল্পে যেন এমন বৈষম্য না থাকে, তা দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, ‘এই বাজেটের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে অগ্রসর হতে সহায়তা করা।

সেই আলোকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তাই আমি এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।

একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে এইচএস কোড পরিবর্তন করায় প্লাস্টিক শিল্পে দরকারি অনেক কাঁচামাল আমদানিতেই শুল্কভার বেড়েছে,

যা এই শিল্পের প্রবৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এনএএন টিভি


One Reply to “প্লাস্টিক খাতের অভ্যন্তরীণ বৈষম্য কাটেনি”

Comments are closed.

প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।