পাকা কাঁঠালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে প্রায় সবারই জানা, কিন্তু কাঁচা কাঁঠালের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
কাঁচা কাঁঠালে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ, যার অন্য নাম ডায়াটারি ফাইবার।
আঁশজাতীয় খাবার দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো প্রায় প্রাত্যহিক রোগ দূর করে।
এ ছাড়া কাঁঠালের আঁশ কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
শরীরের জন্য কাঁচা কাঁঠাল খুবই উপকারী।
কাঁঠালে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান।
ভিটামিন ‘সি’ আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করে।
তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বক, নখ, চুল, দাঁতের পুষ্টি জোগায়। চর্মরোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
পাকা কাঁঠালে চিনির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে। পাকা-মিষ্টি কাঁঠাল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও ক্ষতিকর।
কিন্তু কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খাওয়া যায়, যা রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না।
১। উচ্চমানের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসমৃদ্ধ ফল কাঁঠাল। এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ক্যান্সার ও টিউমারের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
২। এতে থাকা সোডিয়াম ও পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে, যা উচ্চ-রক্তচাপ ও হার্টও ভালো রাখে।
৩। কাঁঠাল ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
৪। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন, যা চোখ ভালো রাখে।
৫। কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও বলিরেখাও কমে।
৬। কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন বি৬ এবং প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি।
৭। কাঁঠালে আয়রন থাকে, যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। রক্তাল্পতায় রোগীদের জন্য কাঁঠাল খুবই উপকারী।
৮। কাঁঠাল পাইলস ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৯। কাঁঠালে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড় শক্ত রাখে।
আরও পড়ুন :
2 Replies to “কাঁচা কাঁঠালের পুষ্টিগুণ”
Comments are closed.