শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি । এ অঙ্গের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হলে শরীরে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ–আগে থেকেই কিডনি সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
এ জন্য যথাযথ খাদ্যতালিকা ও জীবনযাপনে নিয়ম মেনে চলতে হবে, যাতে কিডনির ওপর চাপ না পড়ে।
কিডনি ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। কিডনির রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়ে থাকে।
কারণ, কিডনির সমস্যা হলে তা প্রথম অবস্থায় ধরা পড়ে না। পরে সমস্যা অনেক বেশি হয়ে গেলে ধরা পড়ে।
কিডনির সমস্যা হতে শুরু করলেই দ্রুত বাড়তে থাকে সমস্যা; সে জন্য কিডনি সুস্থ রাখা খুবই জরুরি।
কিডনি ড্যামেজ হলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে মানুষের কিডনির ক্ষতি হয়।
কিডনির সুস্থতার জন্য একটা সময়ের পর বিশেষ করে যারা চল্লিশোর্ধ্ব তাদের রক্ত ও প্রস্রাব নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
কারণ, এই সময় পর থেকে মানুষের শরীরে নানাবিধ রোগের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস।
আর এ রোগটি অন্যান্য রোগের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে কিডনির ক্ষেত্রে বেশি।
কিডনির কাজ হলো আমাদের শরীরের তরল ফিল্টার করা। আর সেটি যদি বিকল হয়ে যায়, তাহলে জীবনটা সংকীর্ণ হয়ে যায়।
মানবদেহে দুটি কিডনিরই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই সেগুলোর যত্ন নেয়া খুবই জরুরি।
কিডনি ফেইলিউর প্রতিরোধের উপায়–
নিজেকে সুস্থ রাখুন এবং শারীরিক কার্যকলাপে ঘাটতি হতে দেবেন না। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
কারণ, এটি কিডনির সুস্বাস্থ্যের প্রথম ধাপ। সুগার লেভেল (ডায়াবেটিস) নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
কারণ, ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে।
প্রতিদিনের খাবারে শুধু স্বাস্থ্যকর খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করুন, এটি স্বাস্থ্যের মূলমন্ত্র।
পানি পান খুব কম বা অতিরিক্ত হতে দেবেন না, এটি কিডনি ফিল্টার করতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন :