আমের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা দরে।
নাটোরের লালপুরে ঝড়ে গাছের আম পড়ে যাওয়ায় আম চাষিদের ক্ষতি হয়েছে কয়েক লাখ টাকা।
অপরিপক্ব বড় সাইজের আম বিক্রি হচ্ছে ৬০/৭০ টাকা বস্তা আর কেজি দরে দুই টাকা করে।
মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, দুড়দুড়ীয়া, মনিহারপুর, গন্ডবিল, বেরিলাবাড়ি, আট্রিকা এলাকায় বস্তাভর্তি শত শত মণ আম কিনছেন ব্যবসায়ীরা।
এসব আম আচারের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, গত রোববার রাত সোয়া ৯টায় আকস্মিক ঝড়ে ব্যাপক আম পড়ে। এই সময়ে ঝড় হওয়ার জন্য ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আম চাষীরা জানান,
মে মাসের ৪ তারিখ থেকে গুটি আম ও ১৫ মে থেকে গোপালভোগ আম পাড়া শুরু হয়েছে।
২০ মে থেকে রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ বা লকনা পাড়া হচ্ছে। ২৫ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত,
৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন থেকে আম্রপলি, ১৫ জুন ফজলি, ১০ জুলাই আশ্বিনা, বারি ফোর ও গৌড়মতি, ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম নামানো যাবে।
আর বারোমাসি আম কাটিমন ও বারি ১১ আম সারাবছরই সংগ্রহ করা যাবে।
এরই মধ্যে ৪দিনের ব্যবধানে দুই দফার ঝড়ে গাছের অনেক আম পড়ে গেছে।
উপজেলার আম চাষী ও ব্যবসায়ী রেজাউল করিম জানান,
রোববার ও বৃহস্পতিবার ঝড় হয়েছে। দুই দফার ঝড়ে অন্তত ৪০ মে.টন আম ঝড়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার প্রায় ৫শ’ বস্তা আম কিনেছেন। খরচসহ এসব আমের দাম পড়েছে প্রায় ৮০ টাকা মণ।
তার কেনা আম ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন।
দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ঝড়ে আম পড়ে চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন :
2 Replies to “আমের কেজি দুই টাকা”
Comments are closed.