ডলার সংকটে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আনতে না পারায় স্থবির হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের শিল্পখাত। অনেক কল-কারখানা কমিয়ে দিয়েছে উৎপাদন। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
এশিয়ার অন্যতম বড় টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ পাকিস্তান। তবে দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক দুরাবস্থার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে টেক্সটাইল খাতে।
এতে নতুন করে কমপক্ষে ১০ লাখ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়ন। অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে দেশটির টেক্সটাইল পণ্য রফতানির পরিমাণও অনেক কমেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
গত বছর ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে পাকিস্তান। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের কারণে ভেসে যায় দেশটির ৪৫ ভাগ তুলা। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বিদেশ থেকে তুলা আমদানি করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না সংশ্লিষ্টদের। তবে আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করায় সেটিও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে চলতি বছরের শুরুতেই টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ৭০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
টেক্সাটাইল খাতের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে দেশটির অটোমোবাইল ও যন্ত্রাংশ উৎপাদন শিল্পে। বেচাকেনা কমে যাওয়ায় কাজ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মূলত দেশটির আমদানিনির্ভর শিল্পগুলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া বন্যার বিরুপ প্রভাব পড়েছে কৃষি খাতেও। যেসব কৃষি প্রতিষ্ঠান এখনও কর্মী ছাঁটাই শুরু করেনি, সেসব প্রতিষ্ঠান শিগগিরই তা শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স ইন্ড্রাস্টির (এফপিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ইরফান ইকবাল বলেন, অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে অবশ্যই আমদানি সচল রাখতে হবে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ওপর আরোপিত ‘অঘোষিত’ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার জন্য শাহবাজ সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।