ঢাকা, বাংলাদেশ | বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   আর্জেন্টিনা ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করতে যাচ্ছে    ৬০ কিমি বেগে রাতেই যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা    ফকিরহাটে ষাটোর্ধ্ব নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার    খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল    লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১৫,০০০/- টাকা জরিমানা    দুটো ছেলে মানুষ করা খুব শক্ত কাজ –কারিনা কাপুর    রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অটোরিকশাচালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু    কেন ধীর হয়ে আসছে পৃথিবীর ঘূর্ণন, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা    শুক্রবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা    ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসতে পারে শুক্রবার    ড. ইউনূসের পুরস্কার গ্রহণ গাজায় গণহত্যা সমর্থনের শামিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী    নিউইয়র্কে নরসিংদী জেলা সমিতির ইফতার মাহফিল    হ্যাকার চক্রের সন্ধান দিলেই মিলবে মোটা অংকের পুরস্কার    ঝালকাঠিতে নদী থেকে ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার    “এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

এপেন্ডিসাইট অপারেশনের প্রায় দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিশু বাচ্চা ইয়ামিন হোসেনের পেট থেকে বের হলো ”মোপ” (ব্যান্ডেজ কাপড়)!

ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ ইউসুফ আলী সরকার, খানপুর ৩০০ শয্যা – মেডিহোপ হাসপাতালের

সার্জন ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদ ও মেডিহোপ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে

নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহম্মদ মশিউর রহমান এর কাছে সুষ্ঠ বিচার চেয়ে পিতা মোঃ শামীমুর রহমান এ অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

সোমবার ৮মে দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন এর কার্যালয়ে চিকিৎসা অবহেলায় ডাক্তার

ও মেডিহোপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর পিতা মোঃ শামীমুর রহমান উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

 

মোঃ শামীমুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “আমার ছেলে ইয়ামিন হোসেনকে চিকিৎসার অবহেলা ও গাফিলতির কারনে

ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ ইউসুফ আলী সরকার,

খানপুর ৩০০ শয্যা – মেডিহোপ হাসপাতালের সার্জন ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদ ও মেডিহোপ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ হাজী আনিছুর রহমান এর বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন,

জেলা প্রশাসক, চিকিৎসক তত্ত্বাবধায়ক খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, আর.এম.ও, ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে দৌড়ঝাঁপে কোন সুচিকিৎসা না পেয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস পর আমরা ঢাকাস্থ মাতুআইল শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই।

সেখানকার ডাক্তারগণ ইয়ামিন হোসেনের পায়ুপথে ‘মোপ’ (ব্যান্ডেজ কাপড়) দেখে তারাও হতবাগ হয়ে পরে,

সমস্ত ডকুমেন্ট আমাদের কাছে রয়েছে এবং অনুলিপির সাথে সংযুক্ত করে সিভিল সার্জন এর কাছে জমা দিয়েছি”

এবিষয়ে মোঃ শামীমুর রহমান অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন,

“গত ইং ১৬/০৯/২০২১ তারিখে আমার ছেলে মোঃ ইয়ামিন হোসেন এর পেটের পীড়া জনিত সমস্যার কারনে

তাকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত ডাক্তার মোঃ ইউসুফ আলী সরকার

আমাদেরকে জানায় যে, জরুরী আমার ছেলের এপেন্ডিসাইট অপারেশন করতে হবে

এবং আমাদেরকে বলে যে, আমরা যেনো নারায়ণগঞ্জ চাষাড়াস্থ মেডিহোপ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করাতে

অতপরঃ আমরা বিগত ২০/০৯/২০২১ইং তারিখে আমার ছেলেকে চাষাড়া মেডিহোপ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে

বিকাল অনুমান ৫.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত ভিক্টোরিয়ার ডাক্তার মোঃ ইউসুফ আলী সরকার

এবং নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সার্জন ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদ সম্মিলিতভাবে আমার ছেলের এপেন্ডিসাইট অপারেশন করেন।

পরবর্তীতে দেড়মাস পর আমার ছেলের পেট ফুলে গেলে আমি আবার আমার ছেলেকে

ভিক্টোরিয়ার ডাক্তার মোঃ ইউসুফ আলী সরকারের কাছে নিয়া গেলে

তিনি আবার ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদকে সাথে নিয়া টিভি রোগ বলে আবারো আমার ছেলের পেটে অপারেশ করিয়াছেন।

২য় বার অপারেশনের পরও দিনদিন আমার ছেলে অসুস্থ হইতে থাকে এবং তার খাবার দাবার বন্ধ হয়ে যায়।

প্রায় ১৮ মাস যাবত আমার ছেলে সুস্থ না হয়ে বরং দিনদিন অসুস্থতার মাত্রা বাড়তে থাকে এবং আমার ছেলের অবস্থা মুমূর্ষু হয়ে পড়ে।

অতপর: আমরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষা করিলেও কোন ধরনের রোগ নির্ণয় করা যায় নাই।

 

পরবর্তীতে আমি গত ইং ২১/০৪/২০২৩ তারিখে আমার ছেলেকে মাতুআইল শিশু হাসপাতালে ভর্তি করাই।

ভর্তি করানোর দুইদিন পর আমার ছেলের পায়ুপথে একটি ব্যান্ডিজের দুই ইঞ্চি গজ কাপড় দেখা যায়।

পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাতুয়াল হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শে প্রো-একটিভ হাসপাতালে নিয়ে

বিশেষ পদ্ধতীতে আমার ছেলের পেটের ভিতর থেকে ব্যান্ডিজের গজ কাপড় বের করা হয়।

এমতাবস্থায় উল্লেখিত মোঃ ইউসুফ আলী সরকার ও ডাঃ ফয়সাল: আহম্মেদের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারনে আমার ছেলে অনুমান ১৮ মাস মৃত্যুর সহিত যুদ্ধ করেছে।

 

উল্লেখ্য যে, আমি বিষয়টি মেডিহোপ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আলহাজ্ব আনিসুর রহমান আনিসকে জানালে

তিনি তাদের গাফলতী ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমার ছেলেকে পুনরায় তাহাদের হসপিটালে ভর্তি করানোর জন্য বলেও

আমি আমার ছেলের জীবনের কথা চিন্তা করে সেখানে নেই নাই।

এই ঘটনার যাবতীয় কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সকল প্রকার তথ্য সনদ আমার কাছে আছে।”

এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহম্মদ মশিউর রহমান জানান, আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব৷

সিভিল সার্জনের আশ্বাসের পরেও ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে চাপা কষ্ট বিরাজমান আছে৷

এনএএন টিভি


2 Replies to “নারায়নগঞ্জে ১৮ মাস পর শিশু বাচ্চার পেট থেকে বের হলো ”মোপ””

Comments are closed.

প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।