নতুন ধানের সরবরাহ বাড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ধান-চালের বাজার জমজমাট।
তবে মৌসুমের শুরুতে দর ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ধীর গতিতে ধান কিনছেন মিল মালিকরা।
এদিকে কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ার দাবি করছেন বেপারিরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ধান-চালের বাজারের শনিবারের (২৭ মে) চিত্র বলছে, এ বাজারে নতুন ধানের সরবরাহ বেড়েছে।
ফলে হাওড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় কাটছে বেপারিদের।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিয়ে জমজমাট এই বাজারে বর্তমানে বিআর-২৮ প্রতিমণ ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২২০ টাকা,
বিআর-২৯ ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ১২০ টাকা এবং ইরি ৯৮০ থেকে ১ হাজার টাকা।
তবে এই দামেও লাভ হচ্ছে না বলে দাবি বেপারিদের।
এক বেপারি বলেন, ‘আমরা কৃষকের কাছ থেকে বেশি মূল্যে ধান কিনেছি। এখন দেখছি বাজারে ধানের দর কম।
এদিকে ধানের দর ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় মিল মালিকরা ধীর গতিতে ধান কিনছেন।
একসঙ্গে ধান-চাল কেনার নীতিরও সমালোচনা করেন ব্যবসায়ী নেতারা।
এ বিষয়ে মিল মালিকের প্রতিনিধিরা জানান, ধান-চালের দামে তো তাদের পোষাচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন,
‘আমরা সরকারকে বারবার বলেছি ধান-চালের বিষয়টি একসঙ্গে না করতে।
এখন বাজারে ধানের যে দর, এর থেকে দাম যদি আরেকটু বাড়ে তাহলে আমাদের পক্ষে চাল দেয়া সম্ভব নয়।’
তবে ধানের বাজার স্থিতিশীল থাকলে ক্রয় অভিযানে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাদ্য কর্মকর্তা কাউছার সজীব।
তিনি বলেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত ধান রয়েছে। বর্তমানে প্রতি মণ ধানের দর ১ হাজার ৫০ টাকা।
আশা করছি, দাম এর থেকে বাড়বে না। আর আমরা এ দামেই ধান সংগ্রহ করতে পারব।’
জেলা খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে ধান এবং
৪৪ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল ক্রয় করা হচ্ছে। এবার ৫৯ হাজার ৩৫১ মেট্রিক টন চাল এবং ৯ হাজার ১০০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন :