করযোগ্য আয় নেই এমন ব্যক্তিদের ওপরও ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর ধরার কথা ভাবছে সরকার।
ন্যূনতম এ কর না দিলে মিলবে না সরকারি-বেসরকারি ৩৮ সেবা।
চলতি অর্থবছর থেকে ৩৮ ধরনের সেবা নিতে করদাতাদের রিটার্ন জমার রসিদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়।
তবে আসন্ন বাজেটে এ পদ্ধতি হচ্ছে আরও কঠোর। এখন থেকে করযোগ্য আয় যা-ই থাকুক না কেন,
ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর দিয়ে রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।
এ ছাড়া কর সমস্ত টিআইএনধারীর ওপর আরোপ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণিতে টিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৮৬ লাখ হলেও আয়কর রিটার্ন জমা দেন মাত্র ৩২ লাখ ব্যক্তি।
এদের মধ্যে প্রায় ৮ লাখের করযোগ্য আয় নেই। এই ৮ লাখ ব্যক্তির ওপর ন্যূনতম কর ধার্য করা হলে সরকারের বাড়তি ১৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে।
আর ন্যূনতম করের নিয়মটি সব টিআইএনধারীর ওপর প্রয়োগ করা হলে এটি ৬২ লাখ ব্যক্তির
ওপর আরোপ করা হবে, যার ফলে ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে।
তাই ট্যাক্স কমপ্লায়েন্সকে উৎসাহিত করার জন্য এনবিআর সরকারি-বেসরকারি সেবাপ্রত্যাশীদের জন্যই আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করতে চায়।
এর আগে গত বছর এনবিআর ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ, সিটি করপোরেশনে ট্রেড লাইসেন্স ও
আমদানি-রফতানির অনুমতিসহ নানা ধরনের ৩৮টি সেবার জন্য আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করেছে।
তবে নতুন করে ২ হাজার টাকা ন্যূনতম কর ধার্য করা হলে; এটি না দিলে মিলবে না সরকারি-বেসরকারি ৩৮ সেবা।
বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ড নেয়ার ক্ষেত্রে; কোনো কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারধারী হতে হলে; ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য হতে গেলে;
কারো সন্তান বা পোষ্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করলে; অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়ার ক্ষেত্রে;উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ,
সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে কোনো করদাতা ন্যূনতম কর না দিলে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এসব সেবা দিতে পারবে না বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন :