হবিগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও, কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষক।
এদিকে সরকারি ধান সংগ্রহ প্রক্রিয়া জাতীয়ভাবে উদ্বোধনের প্রায় দুই সপ্তাহ পরও অ্যাপে নিবন্ধন জটিলতায় এখনও কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
রোববার (২১ মে) হবিগঞ্জে সরেজমিনে দেখা যায়, সোনালি ফসল ধান কাটা শেষে মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
বাজারে প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায়, যা থেকে উৎপাদন খরচ উঠছে না বলে দাবি কৃষকদের।
তাই ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী তারা।
একজন কৃষক বলেন, ধান উৎপাদন করতে আমাদের যা খরচ হয়েছে, সেটিই তো উঠছে না। কৃষিকাজ করে আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না।
বাজারে ধানের দামে হতাশ আরেক কৃষক বলেন, সরকারের কাছে আমাদের আবেদন,
আমরা যেন ধানের ন্যায্য মূল্য পাই এবং ধান বিক্রি করে চলতে পারি।
তবে কৃষকরা ধান দিতে আগ্রহী থাকলেও সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ প্রক্রিয়ার উদ্বোধনের প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও,
জেলায় এখনো এর কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। তাছাড়া গুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষকরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
এক কৃষক বলেন, সরকারের গুদামেই যদি ন্যায্য দাম না পাই আর এত ভোগান্তি পোহাতে হয়,
তাহলে আগামীতে ধান আবাদ না করাই আমাদের জন্য ভালো।
এদিকে শিগগিরই পুরোদমে ধান সংগ্রহ শুরু হবে বলে জানিয়েছে হবিগঞ্জের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রু মার্মা।
তিনি বলেন, ‘৬টি উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করার জন্য নিবন্ধন করা হচ্ছে।
সেই তালিকার ভিত্তিতেই ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
উল্লেখ, চলতি বছর জেলায় ১৪ হাজার ৪২৪ মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র ৬ হাজার ৬৫৯ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন :
One Reply to “হবিগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন শুরু হয়নি ধান সংগ্রহ”
Comments are closed.