অবশেষে চাঞ্চল্যকর সানি-রনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
সোনারগাঁও থানার পুলিশ সুপার জনাব গোলাম মোস্তফা রাসেল (পিপিএম বার)-এর নির্দেশক্রমে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, মোসাঃ মোর্শেদা নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় এজাহারভুক্ত আরও ৭ আসামি পলাতক রয়েছে।
আসামীরা হলো, ১. মোঃ মহিউদ্দিন (৫৩), পিতা-মৃত ছমির উদ্দিন, ২. মোঃ মোস্তফাত (৩৫), ৩. মোঃ মফিজুল ইসলাম (২৮), ৪. মোঃ মারুফ (২৫), ৫. মোছাঃ মুক্তা (২৭), ৬. মোছাঃ মাহমুদা (২২), ৭. মোছাঃ মিনারা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি পূর্ব বিরোধিতার জের ধরে ধারালো দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র দিয়ে আছলাম সানি ও শফিকুল ইসলাম রনি সহ আরও বেশ কয়েকজনকে গুরুতর জখম করে এবং পরবর্তীকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানি ও রনির মৃত্যু হয়।
এরপর এই হত্যাকাণ্ড মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে সোনারগাঁও থানার পুলিশ সুপার জনাব গোলাম মোস্তফা রাসেল (পিপিএম বার)-এর নির্দেশক্রমে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ আমিনুল ইসলাম সহ একটি আভিযানিক দল গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ জেলায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থেকে মোঃ মামুনকে, পিতা-মহিউদ্দিন গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে উক্ত হত্যাকাণ্ড ঘটনায় সে সহ এজাহার নামীয় অন্যান্যদের সহযোগীতায় এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।