দেশের বিভিন্ন জেলায় নদ-নদী, খাল-বিল ও হাওড়ের পানি কমে যাওয়ায় জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে সব ধরনের দেশি মাছ। আর সরবরাহ বাড়ায় নারায়ণগঞ্জে মাছের দামও কমেছে। তাই ছুটির দিনে পছন্দমতো মাছ কিনতে পাইকারি আড়তে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ভোর থেকেই হাঁকডাকে সরগরম নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীর তিন নম্বর ঘাটে অবস্থিত জেলার প্রধান মৎস্য আড়ত।
ভোর থেকেই জমে উঠে আড়তদার ও পাইকারি বিক্রেতাদের বেচাকেনা। বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে হরদম মাছ বেচাকেনা। মূলত এ বাজার থেকেই নগরীর অন্যান্য বাজারগুলোতে পাইকারি মূল্যে মাছ সরবরাহ হয়ে থাকে।
বিক্রেতারা জানান, এখন মাছের মৌসুম তাই সব ধরনের মাছের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ফলে বেচাকেনা আগের চেয়ে বেশ ভালো হচ্ছে।
পাইকারি মূল্যে দেশি সব ধরনের মাছ পাওয়া যায় বলে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এই বাজারে মাছ কিনতে আসেন। এ ছাড়া মাছ কিনে এখান থেকেই কেটে নিয়ে যাওয়ার সুব্যবস্থাও রয়েছে। তাই সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ছুটির দিনে ক্রেতাসমাগম বেশি হয়।
আড়তে প্রতি কেজির মূল্য ইলিশ ৫০০ থেকে ১০০০, গলদা চিংড়ি ৯০০ থেকে ১২০০, রিঠা ৫০০ থেকে ৬০০, গজার ৫০০ থেকে ৬০০, দেশি রুই ৩৫০, নদীর কাতল ৩০০, নদীর বোয়াল ৮০০, কোরাল ৬০০, বাঘাইড় ৮০০, নদীর পাঙাশ ৮০০ ও বিভিন্ন প্রকার ছোট মাছ ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
২০০ বছরের প্রাচীন এই মৎস্য আড়তে শতাধিক আড়তদার ও হাজারের বেশি পাইকারি ব্যবসায়ী বংশপরম্পরায় মাছ ব্যবসা করছেন। প্রতিদিন অন্তত তিন কোটি টাকার মাছ বিক্রি করেন তারা।