ঢাকা, বাংলাদেশ | শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   রাজধানীতে বাসের কাচ ভেঙে স্পেশাল ব্রাঞ্চের রিপোর্টারের মৃত্যু    যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান    কুড়িগ্রামে লাইজু কিডস ফুটবল একাডেমীর আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।     পয়েলা বৈশাখে ওড়ানো যাবে না ফানুস    ইসলামী শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও ইফতার মাহফিল করলো মানব কল্যাণ পরিষদ    ৫ কেজি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকায় মিলছে!    রাজবাড়ীতে অ্যাম্বুলেন্সে দুর্বৃত্তের আগুন    চিকেন বারবিকিউ তৈরি করবেন যেভাবে    ফিরে পেলেন ১১ বছর আগে হারানো সন্তান, ওমরাহ পালনে গিয়ে    অন্তঃসত্ত্বা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পরিণীতি    ২৩৮ বার হেরেও ফের নির্বাচনে লড়বেন তিনি    জন্মের পরেই এত বড়লোক রাহা! ২৫০ কোটি রুপির বাংলো উপহার দেবেন আলিয়া-রণবীর    ব্যবহৃত অলংকারের জাকাত দিতে হবে কি?    ১৩.৬৪ সেকেন্ডে ১ লিটার লেবুর শরবত খেলেন ডেভিড    জুমার দিন দরুদ পড়ার ফজিলত

নরসিংদীর রায়পুরায় শাশুড়ীকে হত্যাচেষ্টায় দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত পুত্রবধূ অনামিকার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা।

রোববার (০৫ জুন) বিকেলে হাইরমারা বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করেন।

অভিযুক্ত পুত্রবধূ অনামিকা খানম (২০) প্রবাসী কামরুল হাসানের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী হাইরমারা এলাকার জাহাঙ্গীর খানের মেয়ে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আহত লুৎফা আক্তারে (৭৫) ছেলে আবু কাইয়ুম বলেন,

‘গত ৩১ মে সকালে ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে মোল্লাবাড়িতে আবদুল মজিদ মিয়ার স্ত্রীকে পুত্রবধূ অনামিকা খানম (২০) ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে লুন্ঠন করার উদ্দেশ্য আমার মায়ের নিকট মোটরসাইকেল ও আলমিরার চাবি খুঁজতে থাকে।

মা চাবি না দেয়ায় দরজা বন্ধ করে ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

মায়ের চিৎকার শুনে স্থানীয় এলাকাবাসী ঘরের দরজা ভেঙে গুরুতর আহত অবস্থা উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান।

তবে মায়ের অবস্থার অবনতি হলে জেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

বর্তমানে মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মায়ের জখমে ১২০ টি সেলাই দিতে হয়েছে।’

ভুক্তভোগী লুৎফা আক্তারের ছেলে আবু কাইয়ুম আরও বলেন,

‘ঘটনার পরদিন এই হত্যাকান্ড চেষ্টায় অনামিকাকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন আহত লুৎফা আক্তারের ছেলে।

এরপর ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ অনামিকা খানমকে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।’

তিনি আরও বলেন,

‘মাকে হত্যার চেষ্টায় অনামিকার ফাঁসিসহ কঠিন শাস্তি দাবি করছি।

এ ঘটনার পর অনামিকার পরিবারের লোকজন মামলা অন্যদিকে প্রভাবিত করতে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকদের নিকট আমি ও আমার স্ত্রী লিজাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করান।

পাশাপাশি মামলাটি উঠিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।

তাদের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদসহ তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

এ প্রসঙ্গে কাইয়ুম এর স্ত্রী লিজা বলেন,

‘কামরুল বিদেশ যাওয়ার পর অনামিকা গর্ভবতী ছিলো। কিন্তু সে তার পরিবারের পরামর্শক্রমে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে।

এ খবর পেয়ে স্বামী কামরুল ও তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

একদিকে বাপের বাড়ীর লোকজনের পরামর্শক্রমে বাচ্চা নষ্ট করা এবং অপরদিকে কেনো বাচ্চা নষ্ট করলো শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের এমন চাপে পুত্রবধু অনামিকা অনেকটা দিশেহারা হয়ে যায়।

আমি ও আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছে।

এই দেশে পুত্রবধূর হাতে কোনো শাশুড়ীকে এমন ভাবে রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরতে না হয়। দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।

গ্রেফতারকৃত পুত্রবধূ অনামিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জানান ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়,

‘গত এক বছর আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে আব্দুল মজিদের ছেলে মালদ্বীপ প্রবাসী কামরুলের সাথে অনামিকার মুঠোফোনে বিয়ে হয়।

গত দুই মাস আগে দুইজন বাড়িতে এসে সংসার করার পর গত এক মাস আগে আবারও প্রবাসে পারি জমান কামরুল।

স্বামীর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরপরই অনামিকাও শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে যান। এর মধ্যে, অনামিকার গর্ভে সন্তান লাভের সংবাদ পান।

কিছুদিন যেতে না যেতেই অনামিকা সন্তান নষ্টের সংবাদ দেন। তার পর থেকে শুরু হয় তাদের পারিবারিক কলহ।

ঘটনার দিন অনামিকা দুই যুবককে সাথে নিয়ে বাবার বাড়ী থেকে বাজারের ব্যাগ নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে প্রবেশ করে।

একা বাড়িতে থাকা তার শাশুড়ীকে আলমিরা ও বাইকের চাবি দিতে বলে।

শাশুড়ী চাবি দিতে অস্বীকার করলে ঘরের দরজা বন্ধ করে শাশুড়ীকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি রক্তাক্ত জখম করে।

শাশুড়ীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও

পরে তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মমলায় অনামিকা জেল হাজতে।

এন এ এন টিভি


One Reply to “শাশুড়ীকে হত্যাচেষ্টায় গ্রেফতারকৃত পুত্রবধুর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ”

Comments are closed.

প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।