রমজান আসন্ন হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্গে দেশি-বিদেশি ফলের দামও এবার আকাশ ছুয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি মূল্যের কারণে ইফতারে ফল কিনে খাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন ভোক্তাসাধারণ।
সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকেও বিদেশি ফল বাদ দিয়ে দেশি ফলের ওপর জোর দেওয়ার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার বক্তব্যে দেশি ফল গ্রহণে উৎসাহ দিয়েছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ফল তো আমাদের দেশে প্রচুর হচ্ছে। এখন আমাদের দেখতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রায় অতিরিক্ত চাপ যেন না পড়ে। এছাড়া দেশে যে ফল উৎপাদন হচ্ছে, সেসবেরও একটি মূল্য পাওয়া দরকার। যে জন্য এটি (এলসি) একটু সীমিত করা হয়েছে। সময় ভালো হলেই বিদেশ থেকে ফল আমদানির পথ খুলে দেওয়া হবে। আপাতত দেশীয় ফলমূলের ওপর ভরসা করার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ডলার সংকট না কাটলে এবারের রমজানেও বিদেশি ফল আমদানি করা যাবে না ।
অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটের মধ্যে ২০২২ সালের মে মাসে সব ধরনের বিদেশি ফল আমদানিতে ২০% নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পরে ফল আমদানিতে ঋণ সুবিধাও বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এই শুল্ক আরোপের কারণেও বিদেশি ফলের দামে প্রভাব ফেলছে বলে জানান একাধিক ব্যবসায়ী।