আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে যুক্ত হতে চায় কয়েকটি ইসলামী দল ও জোট। তবে এ নিয়ে চরম আপত্তি রয়েছে জোটের বাম শরিক দলগুলোর।
তাদের দৃষ্টিতে, ইসলামী দল নিয়ে জোটের পরিধি বাড়ানো হলে তা হবে আদর্শ পরিপন্থি। সংবিধানের চার মূলনীতির সঙ্গেও সেটা সাংঘর্ষিক হবে।
বাম দলগুলোর এমন আপত্তিকে বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের পক্ষ থেকে আলাদা জোট বা ফ্রন্ট গঠনের জন্য আগ্রহী ইসলামী দলগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তারা আগামী নির্বাচনের সময় এই ইসলামী জোট বা ফ্রন্টকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে।
সে ক্ষেত্রে সরকারবিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলায় যুগপৎ কর্মসূচি পালন বিষয়েও আপত্তি নেই ক্ষমতাসীন জোট নেতাদের।
বাম দলগুলোর নেতারাও বলছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন এবং বিরোধী দলের
আন্দোলন বিবেচনায় নিয়ে ১৪ দলের বাইরের কাউকে সঙ্গে নিতে চাইলে আপত্তি থাকবে না তাদের।
প্রয়োজনে আলাদা নির্বাচনী ঐক্য হতে পারে। তবে যেটাই হোক না কেন, অবশ্যই সেটি গণতান্ত্রিক ও আদর্শের ভিত্তিতেই হতে হবে।
বেশ কিছু দিন ধরে ১৪ দলে আসার আগ্রহ দেখাচ্ছে কয়েকটি ইসলামী জোট ও দল।
এই দলগুলোর মধ্যে রয়েছে মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ,
সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর নেতৃত্বাধীন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এবং আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জীর নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন।
এসব জোট ও ফ্রন্টের নেতারা গত সোমবার ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমুর সঙ্গে দেখা করেন।
তাঁরা ১৪ দলীয় জোটে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তাঁদের আগ্রহের বিষয়টি ১৪ দলের বৈঠকে উত্থাপন করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক।
সোমবার তাঁর ইস্কাটনের বাসায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠকে আমির হোসেন আমু জানান, আলাদা ফ্রন্ট বা জোট গঠনের পাশাপাশি ১৪ দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন বা নির্বাচনী জোটে
শামিল হতে ইসলামী দলগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বাম দলগুলো আপত্তি তোলেনি।
এ প্রসঙ্গে আমির হোসেন আমু বলেন, তিনি ইসলামী দলগুলোকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন– এই মুহূর্তে ১৪ দলের সম্প্রসারণ হবে না।
তাই ইসলামী দলগুলোকে আলাদা ফ্রন্ট গঠন করে নিজেদের মতো চলতে হবে।