নিখিল ভারত কংগ্রেস নেতা ও শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হকের ঘনিষ্ঠ সহচর, বংগীয় আইন পরিষদের সদস্য, নারায়নগঞ্জের মহকুমার সাবেক এম. এল. এ. জনাব আব্দুস সামাদ খানের আজ ৫ই মার্চ ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী।
মরহুম আব্দুস সামাদ খান ১৮৯৭ সালে নারা্যনগঞ্জের রুপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়ার পুর্বগ্রামে জন্মগ্রহন করেন।তার পিতার নাম আব্দুল গনি খান। মরহুম আব্দুস সামাদ খান বাংলার বিখ্যাত বার ভুইয়া আনোয়ার খান এর ১০ম বংশধর ।
সামাদ খান পেশাগত জীবনে আইনজীবি ছিলেন । তিনি প্রথমে ঢাকা কোর্টে ও পরবর্তিতে নারায়নগঞ্জ কোর্টে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে অবিভক্ত ভারতের কংগ্রেস রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। সামাদ খান ১৯২০ সালে মহত্মা গান্ধীর ডাকে ব্রিটিশ বিরোধি অসহযোগ অন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসুচীর বাস্তবায়নে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করেন।
১৯২৪ সালে শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হকের্ সভাপতিত্বে বংগীয় প্রজা কনফারেন্সে সামাদ খান ঢাকা জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন এবং নিখিল বংগ প্রজা সমিতির অন্যতম নেতা নির্বাচিত হন।
১৯২৬ সালে সামাদ খান শেরে বাংলার সাথে মানিকগঞ্জের ঘিওর হাটে ঐতিহাসিক প্রজা আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ভুমিকা পালন করেন।
১৯৩৭ সালে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা বংগীয় আইন সভায় বংগীয় কৃষি ঋন আইন পাশ করেন। মরহুম সামাদ খান উক্ত আইনের অধীনে ঋন শালিসি বোর্ড গঠনে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। পরবর্তিতে সামাদ খান কংগ্রেস ত্যাগ করে শেরে্ বাংলার নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক পার্টিতে যোগ দেন।
১৯৫৪ সালে আব্দুস সামাদ খান যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী হিসাবে নারায়নগঞ্জ রুপগঞ্জ আসন হতে প্রতিদন্ধী সমস্ত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করে পুর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। শেরে বাংলা তার নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহন করেছিলেন। নির্বাচন পরবর্তি যুক্তফ্রন্ট সংসদীয় সভায় জনাব আব্দুস সামাদ খানকে পুর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের ডেপুটি স্পীকার মনোনীত করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি সংসদের প্রথম অধীবেশনেই ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন,। কিন্তু তথাপিও তিনি কিছুটা সুস্থ্য হলে সংসদের পুরো মেয়াদকাল নিয়মিত অধীবেশনে বসতেন।
মরহুম আব্দুস সামাদ খান ১৯২৭ সালে সিলেটের অধুনা বিলুপ্ত লাখাই পরগনার সর্বশেষ সনদপ্রাপ্ত জমিদার জনাব নুর হুসাইন দুদু মিয়ার কন্যা বশিরা খানম কে বিয়ে করে নারায়নগঞ্জের গলাচিপার ৪০ নং কলেজ রোড খান বাড়িতে আজীবন বসবাস করেছেন। তিনি একজন অতিথি পরায়ন ব্যক্তি ছিলেন। তার গলাচিপা বাড়িতে আতিথ্য গ্রহন করেছেন যারা তম্মধ্যে , শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক, আতাউর্ রহমান খান, বাংলাদেশের জাতীর পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলি, মোহন মিয়া, নান্না মিয়া সহ বহু জাতীয় ব্যক্তিত্ব।
১৯৭৩ সালের ৫ই মার্চ আব্দুস সামাদ খান ইহলোক ত্যাগ করেন।
সাবেক এম এল এ আবদুস সামাদ খান এর জন্য তার মৃত্যবার্ষিকীতে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার নাতি
নারায়ণগঞ্জ ইয়থ ক্লাব এর সভাপতি জনাব ইব্রাহিম আদহাম খান।
3 Replies to “নারায়নগঞ্জের সাবেক এম. এল. এ আব্দুস সামাদ খান এর ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকী”
Comments are closed.